মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাট জেলার প্রায় সব অংশ ছুঁয়ে বয়ে চলা তিস্তা নদী শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে দুই ধরনের রূপ। আর তিস্তা নদীর শুষ্ক চরাঞ্চলে ঝরঝরে বালুকে সবুজ ফসলে আচ্ছাদিত করতে কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অপরদিকে বর্ষাতে এর ঠিক উল্টো। মুদ্রার এপিট ওপিটের ন্যায়। প্রায় প্রতি বছর অতিবৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে আকষ্মিক বন্যায় তলিয়ে যায় সব ফসলী জমির ফসল। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছিল আশঙ্কাজনক হারে। কিন্তু হঠাৎ রূপ পাল্টে গেছে আলোচিত তিস্তা নদীটির, সেই সাথে কমতে শুরু করেছে পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, উজানের দিক থেকেই পানি কমেছে। কয়েকদিন আগের পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। গত পরশু এবং আজকের পানি কমেছে। বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আসামের দিকে মূলত বৃষ্টি হচ্ছে। আপাতত তিস্তায় পানি বাড়ার কারণ দেখছিনা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ সাংবাদিকদের বলেন, কিছু জায়গায় পানি জমেছে। বানভাসা নামক জায়গাতে কিছু জমি তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও পানির উপরে ধানের শীষ দেখা যাচ্ছে। সেগুলোর কোন সমস্যা হবেনা। তাদেরকে ধান কাটতে বলা হচ্ছে। বৃষ্টি যেহেতু থেমে থেমে হচ্ছে, তাই কৃষকরাও এর ফাকেই ধান কেটে নিচ্ছেন। কিছু জায়গায় চীনাবাদাম জাতীয় ফসল আছে, সেগুলো তলিয়ে গেছে। গত ২৬ মে রাত থেকে পানি নেমে যাওয়ার সংবাদ পেয়েছি। পানি নেমে গেলে এসব ফসলের তেমন কোন ক্ষতি হবে না।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর সাংবাদিকদের বলেন, আগাম বন্যার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। অতি বৃষ্টির কারণে হয়তো হতে পারে। যদি কোন দুর্যোগ আসে, তাহলে তা মোকাবিলা করতে মাদের পর্যপ্ত ত্রাণ আছে।